বর্তমান উপজেলা ফরিদগঞ্জ থানা হিসেবে রূপ নিয়েছিল ৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯১৭ সনে। এ উপজেলার নাম কেন ফরিদগঞ্জ হয়েছিল তার ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সম্ভবত নিম্নের তিনটি ধারণার উপর ভিত্তি করে আজকের ফরিদগঞ্জ উপজেলার নামকরন করা হয়েছিল ‘‘ফরিদগঞ্জ’’।
এক : বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অনেক পূর্বে শেখ ফরিদ নামে একজন বিখ্যাত মুসলিম সাধক এই এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করে বহু মানুষকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। কারো কারো মতে, উক্ত সাধকের নামানুসারে এই এলাকার নাম রাখা হয়েছিল ফরিদগঞ্জ ।
দুই : পূর্বে এ এলাকায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র ছিল না বলে জানা যায়। তবে এই এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদী পথে অনেক ব্যবসায়ীর যাতায়াত ছিল। তারা অনেক সময় রাত্রি যাপনের স্থান হিসাবে এই এলাকাটিকে সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য স্থান মনে করে এখানে রাত্রি যাপন করত। এলাকায় তৎকালীন জমিদার স্থানীয় জনগণের সুবিধার্থে এই এলাকায় একটি ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় জনগণকে উৎসাহিত করেছিলেন। তার উৎসাহে সবচেয়ে বেশী উৎসাহিত হয়েছিলেন ফরিদ আলী নামে একজন ব্যবসায়ী। জনসাধারণকে আরো উৎসাহিত করার মানষে জমিদার উক্ত ফরিদ আলীর নামানুসারে বাজারটির নামকরন করেছিলেন ফরিদগঞ্জ।
তিন : এই উপজেলার অন্তর্গত তৎকালীন রূপসার জমিদারের প্রতাপ ছিল বেশী। তার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন ফরিদা বানু। জমিদার স্নেহবশে ফরিদা বানুর নামানুসারে এলাকাটির নামকরন করেন। ফরিদগঞ্জ থানা উপজেলা হিসাবে ভূষিত হয় ২৯শে অগ্রহায়ন, ১৩৮৯ বাংলা মোতাবেক ১৫ই ডিসেম্বর, ১৯৮২ সনে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস